ঢাকা ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অক্সিজেনের পর ভেন্টিলেটর সংকটও দেখা দিয়েছে ভারতে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:১৭:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ এপ্রিল ২০২১
  • ১৩৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারতে করোনা সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলেছে, রেকর্ডের পর রেকর্ড ভেঙ্গে চলছে সংক্রমণ হার। কয়েকদিন ধরে অক্সিজেনের সংকটে দেশটি, অক্সিজেন না পেয়ে অনেক রোগীর মৃত্যুও হয়েছে। এরমধ্যেই ভেন্টিলেটর সংকটও দেখা দিয়েছে ভারতে। ভেন্টিলেটরের সংকট সবচেয়ে বেশি মুম্বাই রাজ্যে।

(২৫ এপ্রিল) মুম্বাই ও এর সংলগ্ন পৌর কর্পোরেশন অঞ্চলগুলোতে ভেন্টিলেটরদের সহায়তার জন্য রোগীদের বিশাল লাইন দেখা গেছে। যদিও দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরও ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ)তে ঠাঁই মেলেনি অধিকাংশের। ভেন্টিলেটরের তীব্র সঙ্কটের কারণেই এমন পরিস্থিতি।

দ্যা ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এক পরিবারের বক্তব্য- তারা রাজ্যের ১৮টি হাসপাতালে খোঁজ নিয়েছে, ৫টিতে নিজেরাই গিয়েছেন কিন্তু কোথাও আইসিইউ ফাঁকা নেই।

মীরাবাঈ পুরসভার ৪০টি আইসিইউ বেড রয়েছে। উপ পৌরকমিশনার শম্ভজী পানপট্টে জানান যে, সেই সব বেডই ভর্তি রয়েছে। ভাসাই বিহার পুরসভার অধীনে ১৭টি কোভিড হাসপাতাল রয়েছে। বেড বরাদ্দ তথ্য পরিচালনাকারী অবিনাশ গুঞ্জলকর বলেন,  ‘আমি দুপুরে যখন শেষবার ডেটা চেক করেছি তখন আমাদের সমস্ত আইসিইউ এবং ভেন্টিলেটর বেড ভর্তি, সেটাই এসেছে তথ্যে।’

এদিকে রোগীদের অবস্থাও ক্রমে মারাত্মক হচ্ছে উদ্ধব ঠাকরের রাজ্যে। কান্দিভালিতে এক পরিবারের বক্তব্য, তারা রাজ্যের ১৮টি হাসপাতালে খোঁজ নিয়েছে, ৫টিতে নিজেরাই গিয়েছেন কিন্তু কোথাও আইসিইউ ফাঁকা নেই। সন্ধ্যার দিকে সেভেন স্টার হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুর পর সেই বেড খালি হওয়ায় ভর্তি করানো গিয়েছে তাদের প্রিয়জনকে।

অন্যদিকে, বিএমসির তথ্যে দেখা গিয়েছে কোভিড রোগীদের জন্য ১ হাজার ৪৪৪টি ভেন্টিলেটরের মধ্যে ১৭টি ফাঁকা রয়েছে, ২ হাজার ৮৬১টি আইসিইউ’র মধ্যে ৬০টি খালি আছে।

তবে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তথ্য মতে, মুম্বাইতে কেবল একটি ভেন্টিলেটর এবং ১৫টি আইসিইউ বেড ফাঁকা রয়েছে।

টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতাল জানিয়েছে, যক্ষা রোগী, ক্যান্সার রোগীদের জন্য ভেন্টিলেটর রাখতেই হচ্ছে। সিইও জয় চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের পাঁচটি ভেন্টিলেটর আছে। সবকটি ভর্তি। আমরা ওয়েটিং লিস্ট প্রস্তুত রাখতে পারছি না। যে রোগীর প্রয়োজন হচ্ছে তাকেই দিতে বাধ্য হচ্ছি।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

অক্সিজেনের পর ভেন্টিলেটর সংকটও দেখা দিয়েছে ভারতে

আপডেট টাইম : ১১:১৭:২০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ এপ্রিল ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভারতে করোনা সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলেছে, রেকর্ডের পর রেকর্ড ভেঙ্গে চলছে সংক্রমণ হার। কয়েকদিন ধরে অক্সিজেনের সংকটে দেশটি, অক্সিজেন না পেয়ে অনেক রোগীর মৃত্যুও হয়েছে। এরমধ্যেই ভেন্টিলেটর সংকটও দেখা দিয়েছে ভারতে। ভেন্টিলেটরের সংকট সবচেয়ে বেশি মুম্বাই রাজ্যে।

(২৫ এপ্রিল) মুম্বাই ও এর সংলগ্ন পৌর কর্পোরেশন অঞ্চলগুলোতে ভেন্টিলেটরদের সহায়তার জন্য রোগীদের বিশাল লাইন দেখা গেছে। যদিও দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরও ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ)তে ঠাঁই মেলেনি অধিকাংশের। ভেন্টিলেটরের তীব্র সঙ্কটের কারণেই এমন পরিস্থিতি।

দ্যা ইন্ডিয়ার এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, এক পরিবারের বক্তব্য- তারা রাজ্যের ১৮টি হাসপাতালে খোঁজ নিয়েছে, ৫টিতে নিজেরাই গিয়েছেন কিন্তু কোথাও আইসিইউ ফাঁকা নেই।

মীরাবাঈ পুরসভার ৪০টি আইসিইউ বেড রয়েছে। উপ পৌরকমিশনার শম্ভজী পানপট্টে জানান যে, সেই সব বেডই ভর্তি রয়েছে। ভাসাই বিহার পুরসভার অধীনে ১৭টি কোভিড হাসপাতাল রয়েছে। বেড বরাদ্দ তথ্য পরিচালনাকারী অবিনাশ গুঞ্জলকর বলেন,  ‘আমি দুপুরে যখন শেষবার ডেটা চেক করেছি তখন আমাদের সমস্ত আইসিইউ এবং ভেন্টিলেটর বেড ভর্তি, সেটাই এসেছে তথ্যে।’

এদিকে রোগীদের অবস্থাও ক্রমে মারাত্মক হচ্ছে উদ্ধব ঠাকরের রাজ্যে। কান্দিভালিতে এক পরিবারের বক্তব্য, তারা রাজ্যের ১৮টি হাসপাতালে খোঁজ নিয়েছে, ৫টিতে নিজেরাই গিয়েছেন কিন্তু কোথাও আইসিইউ ফাঁকা নেই। সন্ধ্যার দিকে সেভেন স্টার হাসপাতালে এক রোগীর মৃত্যুর পর সেই বেড খালি হওয়ায় ভর্তি করানো গিয়েছে তাদের প্রিয়জনকে।

অন্যদিকে, বিএমসির তথ্যে দেখা গিয়েছে কোভিড রোগীদের জন্য ১ হাজার ৪৪৪টি ভেন্টিলেটরের মধ্যে ১৭টি ফাঁকা রয়েছে, ২ হাজার ৮৬১টি আইসিইউ’র মধ্যে ৬০টি খালি আছে।

তবে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তথ্য মতে, মুম্বাইতে কেবল একটি ভেন্টিলেটর এবং ১৫টি আইসিইউ বেড ফাঁকা রয়েছে।

টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতাল জানিয়েছে, যক্ষা রোগী, ক্যান্সার রোগীদের জন্য ভেন্টিলেটর রাখতেই হচ্ছে। সিইও জয় চক্রবর্তী বলেন, ‘আমাদের পাঁচটি ভেন্টিলেটর আছে। সবকটি ভর্তি। আমরা ওয়েটিং লিস্ট প্রস্তুত রাখতে পারছি না। যে রোগীর প্রয়োজন হচ্ছে তাকেই দিতে বাধ্য হচ্ছি।’